প্রত্যয় নিউজডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে সমতার ভিত্তিতে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সবার দ্বারে পৌঁছে দেয়ার বৈশ্বিক যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেই কোভ্যাক্স পরিকল্পনার সঙ্গে বিশ্বের ১৭২টি দেশ জড়িত। সোমবার জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেব্রেইয়েসুস এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেতৃত্বাধীন কোভ্যাক্স পরিকল্পনার সঙ্গে ১৭২টি দেশ জড়িত আছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জরুরিভিত্তিতে আরও তহবিল দরকার। দেশগুলোকে এখন দৃঢ়-প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত।
সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম বলেছেন, প্রাথমিকভাবে যখন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সরবরাহ সীমিত থাকবে, তখন বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণদের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়াই হবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী চুক্তির যাবতীয় শর্ত দেশগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দেশগুলো ভ্যাকসিনের জন্য অর্থায়ন করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের অন্তত অর্ধ-ডজন ভ্যাকসিন পরীক্ষার শেষ ধাপে রয়েছে। এর মধ্যে চীনের তিনটি, যুক্তরাজ্যের একটি, যুক্তরাষ্ট্রের একটি এবং মার্কিন-জার্মান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি ভ্যাকসিন রয়েছে।
সাধারণত ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে কয়েক বছরের দরকার হয়। কিন্তু চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। গত ১১ আগস্ট স্পুটনিক-৫ নামের এই ভ্যাকসিনের ঘোষণা আসার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে মস্কোর ভ্যাকসিন তৈরির বৈজ্ঞানিক নীতি-নৈতিকতা ও অন্যান্য মানদণ্ড অনুসরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।